Technology is changing rapidly in today’s world. Our dependency on technology is increasing day by day. It also plays a vital role in every sector in Bangladesh. First world countries are developing robots for their industries and also they are adopting new technologies in other sectors too. In Bangladesh, Industries like RMG, banking, pharmaceuticals, and others are adopting new technologies. Digitalization in Banking Sector and the corporate sector are happening in a rapid Pace. So are we ready for Technological revolution!
How we will adopt these technological Changes which are happening around the world right now! What are the necessary things we should do to stay in the competition!
Technology has been the cross cutting sector and working as the backbone of the nation. Business Leaders joined the conversation on 21 March, 2019 at BASIS SoftExpo at Hall-1 (4:00-6:30 PM), ICCB, Bashundhara.
সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি
প্রযুক্তির আজকের বিশ্বের দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। প্রযুক্তির উপর আমাদের নির্ভরতা দিন দিন বাড়ছে। এটি বাংলাদেশের প্রতিটি খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। উন্নত দেশগুলো তাদের শিল্পের জন্য রোবট উন্নয়ন করছে এবং তারা অন্যান্য সেক্টরেও নিত্য নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করছে। বাংলাদেশে তৈরী পোশাক, ব্যাংকিং, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং অন্যান্য শিল্পখাত নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করছে। ব্যাংকিং সেক্টর এবং কর্পোরেট খাতে ডিজিটালাইজেশন দ্রুত গতিতে ঘটছে। আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে।
প্রযুক্তিগত পরিবর্তন হচ্ছে প্রতিটি খাতেই। প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য আমাদের শিল্পখাতকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের কি করা উচিত, কিই বা আমাদের প্রস্তুতি এসব বিষয়ে সম্মিলিতভাবে আলোচনায় যোগ দেন দেশের ব্যবসায়িক নেতারা। বেসিস সফটএক্সপোর শেষ দিনে অনুষ্ঠিত মেগা ইভেন্ট 'বিজনেস লিডারশীপ মিট' এ সমৃদ্ধ বাংলাদেশের গড়ার লক্ষ্যে প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন বক্তারা।
জনাব ওসামা তাসির, সভাপতি (ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি): বলেন, আমাদের সংগঠনের ৪ হাজার সদস্যের মধ্যে ৮০% এসএমই। তাদেরকে আমরা ইতিমধ্যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত করতে কাজ শুরু করে দিয়েছি। এই জন্য আমরা একটি উদ্যোগ নিয়েছি,যার নাম রিসার্চ এন্ড ডেভেলপ ইন বাংলাদেশ বা জঘও ইধহমষধফবংয.
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, আজ আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে। তথ্যপ্রযুক্তি বদলে দিচ্ছে জীবনমান, তথ্যপ্রযুক্তির এ ধারায় চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে আমূল পাল্টে যাবে জীবন। প্রতিটি খাতই এ পালাবদলের মধ্য দিয়ে যাবে। তথ্যপ্রযুক্তির পালা-বদলের ধারার সাথে তাল মিলিয়ে যারা সেরা প্রস্তুতিটা নিতে পারবে তারাই টিকে থাকবে, এগিয়ে যাবে অগ্রগতির নতুন সোপানের দিকে।
পারভীন মাহমুদ, ইউসেপ বাংলাদেশের চেয়ারপারসন বলেন, পেশাদার চার্টর্ড একাউন্টে যারা আছেন তাদের আসলে প্রযুক্তি সম্পর্কে আপডেট থাকতে হবে। নিজেদের পেশাদার কাজের পাশাপাশি আপনারা প্রযুক্তি বিষয়ক জ্ঞানও আহরণ করবেন। কারণ, আগামী দিনে আমাদের প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে যেতে হবে।
জনাব আব্দুল মুকতাদির, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইনসেপটা লিমিটেড বলেন, ঔষধ শিল্পে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের চেয়ে আমরা ৮০% এগিয়ে আছি। হয়তো সেদিন খুব বেশি দূরে নেই যেদিন ওয়েষ্টার্ন ষ্টেট অথবা ইউরোপীয়ান কান্ট্রিগুলো আমাদের ঔষধের উপর নির্ভও করবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে অনেক ঔষধ কোম্পানিগুলো অনেক নতুন এবং আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করি। যেখানে আমরা বিভিন্ন সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রণ করতে আমরা বাইরে থেকে জনবল নিয়ে আসি। কিন্তু বেসিস সদস্য কোম্পানীরা যদি এই বিষয়গুলোতে এক্সপার্ট হয়ে সেবা দিতে পারে। তাহলে আমরা লোকাল সাপোর্টে নিবো। কারণ, এখন আমাদের সময়, বাংলাদেশের সময়। আমরা সম্মিলিতভাবে উন্নয়নশীল বাংলাদেশ গড়বো।
জনাব আকবর জেএম, সিইও (বাংলাদেশ জাপান আইটি) বলেন, জাপান আসলে সফটওয়্যারগত দিক থেকে নয়, হার্ডওয়্যারগত ব্যবসায় তারা সফল। আর আমাদের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বিজেআইটির বর্তমান ব্যবসার অর্ধেক আসে জাপান আর অর্ধেক আসে আমেরিকা থেকে। আউটসোর্সিং ইন্ডাষ্ট্রিতে বাংলাদেশ ভালো করেছে। তাই এই খাত থেকে ২০ বিলিয়ন ডলার ১০ বছরে আয় করা সম্ভব। এখন সফটওয়্যারের দুটি মার্কেট, একটা দেশে আরেকটা বিদেশে। তাই অনেক চেষ্টা করছি বিদেশ থেকে কাজ এনে দেশে করছি। আমরা যদি দেশে সফটওয়্যার তৈরি করে বিদেশে রপ্তানি করতে পারি তাহলে অনেক ভালো রেভিনিউ আয় করা সম্ভব।
বিশেষ অতিথি: মোঃ নজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব বলেন, আমরা বাংলাদেশে যদিও অনেক কিছু দেরিতে শুরু করলেও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শীতার কারণে খুব তাড়াতাড়ি সেই জায়গাটা ধরতে পেরেছি। আমরা এখন প্রযুক্তি নিয়ে চিন্তা করার পাশাপাশি দক্ষ জনবল গড়ার পেছনে চিন্তা করছি। আমরা যেহেতু খুব তাড়াতাড়ি শিখতে পারি। তাই আমরা মনে করি সরকারের সেই পজেটিভ অ্যাপ্রোজ আছে, আমরা প্রযুক্তিকে গুরুত্ব দিচ্ছি। এতে করে সরকারের সহযোগীতায় আমরা আমাদের কাজের সুযোগ আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছি।
সভাপতির বক্তব্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. গওহর রিজভী বলেন- প্রযুক্তি খাতে আমরা দেরি করে কাজ শুরু করলেও আমরা জানি এখন যে প্রযুক্তিকে আমরা কোথায় নিয়ে যেতে পারি। আমরা প্রযুক্তিকে যেভাবে গ্রহণ করেছি একই ভাবে এর সকল চ্যালেঞ্জ আমাদের গ্রহণ করতে হবে।
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের টিকে থাকার লড়াইয়ে কাজ করে যেতে হবে যৌথভাবে। যেখানে টেকনোলজিই হবে এগিয়ে যাওয়ার হাতিয়াড়। বক্তারা প্রযুক্তি খাতে কারিগরি শিক্ষায় কর্মসংস্থান করতে সহায়তা, শুধু উচ্চশিক্ষা নয় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গুলো নোবেল পেতে পারে এমন অবস্থায় নিতে হবে এমন আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় করতে হবে। ইন্ডাষ্ট্রি একাডেমি যদি একসাথে কাজ করে তাহলে ভালো কিছু করা সম্ভব হবে।যদি সম্ভব হয় প্রথমশ্রেণির দেশগুলোকে আমরা বিনিয়োগের জন্য আমাদের দেশকে প্রস্তুত করতে হবে।